Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.

Text Widget

Text Widget

Wed Development

Outsourcing

Latest Release

Advance Internet

About Pro Video

SEO

Popular Posts

Unordered List

Pages

Download

Recent Posts

Definition List

Sunday, March 5, 2017

কোন কোন আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করা সম্ভব?

আউটসোর্সিং বাংলাদেশে এখন একটি জনপ্রিয় পেশা। ঘরে বসে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে কাজ করে খুব ভালো ইনকাম করা যায় বলে আমাদের দেশের তরুণ তরুণী এই পেশায় ঝুঁকছে। আউটসোর্সিং কাজ করা যায় বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে। আপনি যদি ফ্রীলেন্সিং পেশা কে গ্রহন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভালো ভালো মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। সেই সকল মার্কেটপ্লেসে কিভাবে জবের আবেদন করতে হয়? কোন ধরনের জবের চাহিদা বেশি? তারা কিভাবে টাকা প্রদান করে ইত্যাদি বিষয় জানা থাকলে আপনার জব পেতে এবং কাজ করতে অনেক সহজ হবে।


১. UPWORK:


আউটসোর্সিং এর জন্য বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হল Upwork।এই মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করতে কোন প্রকার ফি দিতে হয় না। যদিও বর্তমানে এই মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করা কঠিন হয়ে পরেছে। তবে আপনি যদি ভালো ভাবে আপনার কাজের অভিজ্ঞতার সকল তথ্য ও প্রমান দেখাতে পারেন তাহলে একাউন্টের আনুমোদন পাওয়ার সম্ভবনা আছে।

কি কি কাজ পাওয়া যায়ঃ
এখানে আইটি সম্পর্কিত প্রায় সব রকম কাজ রয়েছে যেমনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, প্রোগ্রামিং, ভিডিও প্রোডাকশন ,মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি, রিসার্চ এর কাজ, অটো কেড এর কাজ ইত্যাদি।
কাজের ধরণঃ
এই মার্কেটপ্লেসে ঘন্টা এবং ফিক্সড দুইভাবে কাজ করা যায়। আপনাকে যদি কোন Client  ঘন্টায় হায়ার করে তাহলে প্রতি ঘন্টা হিসেবে সে টাকা দিবে। এর জন্য এই মার্কেটপ্লেসের নিজস্ব একটি সফটওয়ার আছে যা দ্বারা ঘন্টা হিসেব করা হয়। আর যদি ফিক্সড হিসেবে হায়ার করে তাহলে কাজের শেষে টাকা দেওয়া হবে। তবে ঘন্টার জবের নিরাপত্তা বেশি।
আপনি যখন কোন জবের জন্য আবেদন করবেন তখন কিছু বিষয় মাথায় রেখে আবেদন করবেন। যেমনঃ Client কত ঘন্টা জব করিয়েছে? পূর্বের ফ্রীলেন্সারদের ফিডব্যাক কেমন? কি রেটে কাজ করিয়েছে ইত্যাদি। আবেদনের সময় অবশ্যই সঠিক তথ্য প্রদান করুন। তাহলে আপনার জব পাওয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিযোগিতা কেমনঃ
এই মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়াটাও তুলনামূলকভাবে কঠিন। কারণ প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। তবে আপনি যদি ভালোভাবে কভার লেটার লিখতে পারেন এবং আপনার কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে পারেন তাহলে সহজে কাজ পাবেন।

পেমেন্ট দেয়ার পদ্ধতিঃ
এই মার্কেটপ্লেস খুব নিরাপদ একটি মার্কেটপ্লেস। এখান থেকে বিভিন্ন ভাবে টাকা উঠানো যায়। যেমনঃ বিভিন্ন মাস্টারকার্ড – Payoneer । এছাড়া আপনি চাইলে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমেও টাকা তুলতে পারবেন।

২. FIVERR:


Upwork এর মত আরেকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হল Fiverr। তবে এই মার্কেটপ্লেসের কার্যবলী  Upwork এর মত না। এই মার্কেটপ্লেস হল একটি দোকানের মত। একটি দোকানে যেমন সকল ধরনের পণ্য থাকে কাস্টমার বা গ্রাহক যা প্রয়োজন তা ক্রয় করে নিয়ে যায় ঠিক তেমনি Fiverr -এ ফ্রীলেন্সাররা নিজের কাজ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য দিয়ে “গিগ” তৈরি করে। ক্লায়েন্টের যেই সার্ভিস প্রয়োজন সেই সার্ভিসের একটি গিগ ক্রয় করে ফ্রীলেন্সারদের হায়ার করে। প্রতিটি গিগের সর্বনিন্ম মূল্য ৫ ডলার।
কি কি কাজ করার সুযোগ আছেঃ
এই মার্কেটপ্লেসে সকল ধরনের কাজ এর গিগ খোলা যায় যেমনঃ ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, PowerPoint Presentation, ডিজিটাল মার্কেটিং(এসইও, এসএমএম, ইমেইল মার্কেটিং), ল্যান্ডিং পেজ তৈরি, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি।
কাজের ধরণঃ
এখানে সকল কাজ ফিক্সড পেমেন্টের কাজ, ক্লায়েন্ট আপনাকে একটি নিদিষ্ট সময় দিবে সেই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে, এছাড়া আপনি আপনার গিগ এর মধ্যে আপনার সময়তো উল্লেখ থাকবেই ।
প্রতিযোগিতা কেমনঃ
হ্যা এই মার্কেটপ্লেসেও প্রতিযোগিতা আছে। তবে যেহেতু এই মার্কেটপ্লেসে কোন ক্লায়েন্ট এসে জব পোষ্ট করে না সেহেতু কাজ পাওয়ার জন্য নিজের গিগ কে মার্কেটিং করার প্রয়োজন হয়। আপনি ভালোভাবে মার্কেটিং করতে পারলে আপনার গিগ এর বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে। এর জন্য আপনার গিগকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারেন। যেমনঃ ফেসবুক, লিঙ্কডিন, টুইটারে শেয়ার করতে পারেন।
পেমেন্ট দেয়ার পদ্ধতিঃ
ফাইভার থেকেও টাকা উত্তোলন নিরাপদ। বাংলাদেশ থেকে সহজে টাকা উওোলনের মাধ্যম হল payoneer মাস্টার কার্ড।


৩. FREELANCER:


অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে পুরাতন একটি মার্কেটপ্লেসের নাম হল Freelancer। এই মার্কেট প্লেসে বিভিন্ন ধরণের অনেক জব রয়েছে। আপনি আইটির প্রায় সকল সেক্টরের জব পাবেন এই মার্কেটপ্লেসে। আইটি ছাড়াও আরও অনেক ধরনের জব রয়েছে এই মার্কেটপ্লেসে যেমনঃ একাউন্টিং। এখানে আবেদন করাও সহজ। এখানে একাউন্ট করতে কোন প্রকার ফি লাগে না। তবে ফ্রী মেম্বারশিপ একাউন্টের মাধ্যমে মাসে ৮ টার বেশি জবে বিড করা যায় না।
কি কি কাজ পাওয়া যায়ঃ
এই মার্কেটপ্লেসে প্রচুর পরিমান জব সাবমিট হয়। তাই সকল রকমের আইটি জব পাওয়া যায় এবং সাথে সাথে আইটি এর বাইরেও জব পাওয়া যায়।
প্রতিযোগিতা কেমনঃ
 এই মার্কেটপ্লেসে যেমন অনেক জব আছে আবার তেমনি অনেক ফ্রীলেন্সাররাও রয়েছে। তাই প্রতিযোগিতাও আছে এবং আবার ভালো কাজ জানলে জব পাওয়ার সম্ভবনাও বেশি। আসলে পুরনো মার্কেটপ্লেস সব গুলোতেই ভালো প্রতিযোগিতা থাকে ।
পেমেন্ট দেয়ার পদ্ধতিঃ
পেমেন্ট মেথডের ক্ষেত্রে পেয়নিয়ার মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন। এছাড়া Paypal বা Skril এর মাধ্যমেও টাকা তোলা যায়।

৪. PEOPLEPERHOUR:


ফ্রীলেন্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে আরেকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসের নাম হল PeoplePerHour. এই মার্কেটপ্লেসটিতে অন্যান্য মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ পাওয়াটা একটু সহজ। এই মার্কেটপ্লেসে প্রত্যেকটি ফ্রীলেন্সারকে ১-৫ লেভেল পর্যন্ত একটি ব্যাচ প্রদান করা হয়। এই লেভেল যত বৃদ্ধি পাবে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বৃদ্ধি পাবে। এই লেভেল ৩ পর্যন্ত কাজ পাওয়ার আগেই বৃদ্ধি করা যায়। তবে ৩ থেকে লেভেল বৃদ্ধি করতে আপনার প্রোজেক্টের উপর এবং বায়ারের ফিডবেকের উপর নির্ভর করে। কাজ পাওয়ার আগে  লেভেল ৩ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার উপায় হল স্টার এবং এন্ডোর্সমেন্ট। এই এন্ডোর্সমেন্ট ও স্টার আপনাকে যেকেউ দিতে পারে। তাই অন্যের কাছ থেকে এন্ডোর্সমেন্ট ও স্টার পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। আপনি অন্যজনকে এন্ডোর্স ও স্টার দেওয়ার মাধ্যমেও এন্ডোর্সমেন্ট ও স্টার পেতে পারেন।
কি কি কাজ পাওয়া যায়ঃ
এখানেও আপওয়ার্ক বা ফ্রীলেন্সারের মত বিভিন্ন ধরনের আইটি জব রয়েছে যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি।
পেমেন্ট দেয়ার পদ্ধতিঃ
এই মার্কেটপ্লেস থেকে payoneer দিয়ে বাংলাদেশ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
প্রতিযোগিতা কেমনঃ
প্রতিযোগিতাতো থাকবেই কিন্তু এই মার্কেটপ্লেসে Upwork এবং Freelancer এর তুলনায় প্রতিযোগিতা কম ।

৫. ৯৯ ডিজাইনঃ


৯৯ ডিজাইন অন্যান্য মার্কেটপ্লেস থেকে ভিন্ন একটি মার্কেটপ্লেস। এটি মুলত ডিজাইনারদের জন্য একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। যারা ডিজাইন করতে পারে যেমনঃ ওয়েব ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ফেসবুক কভার ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিজাইন ইত্যাদি তাদের জন্য এই মার্কেটপ্লেস। এখানে কোন কাজের বিড করতে হয় না। এখানে Client তার প্রয়োজন মত ডিজাইনের তথ্য উল্লেখ করে ডিজাইনাররা সেই তথ্য অনুযায়ী ডিজাইন করে তা জমা করে। যার ডিজাইন Client এর ভালো লাগে তাকে সে জব পোষ্ট করার সময় উল্লেখিত মূল্য প্রদান করে। বিষয়টি প্রতিযোগিতার মত।

কি কি কাজ পাওয়া যায়ঃ
ওয়েব ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ফেসবুক কভার ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিজাইন, আইকন ডিজাইন, ব্লগ, ব্যানার, YouTube চ্যানেল ডিজাইন ইত্যাদি।
পেমেন্ট দেয়ার পদ্ধতিঃ
এই মার্কেটপ্লেসেও পেমেন্ট তোলা যায় Payoneer এবং Skrill এর মাধ্যমে। তাই বাংলাদেশ থেকে চাইলেই যে কোন ডিজাইনার এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারে।
প্রতিযোগিতা কেমনঃ
এটি পুরটাই প্রতিযোগিতা পূর্ণ কাজ কারণ যার ডিজাইন ভালো হবে সেই মূল্য পাবেন।

৬. বিল্যান্সারঃ


এটি বাংলাদেশের মার্কেটপ্লেস। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্রীলেন্সিং মার্কেটপ্লেসের মত আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হল বিল্যান্সার। আপনি যদি নতুন কোন ফ্রীলেন্সার হন এবং বড় বড় মার্কেটপ্লেসে কাজ নিতে পারছেন না তাহলে বিল্যেন্সার দিয়ে শুরু করতে পারেন। কারণ এই মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন সেক্টরের ভালো ভালো ফ্রীলেন্সার রয়েছে। তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করার মাধ্যমে আপনি আপনার ফ্রীলেন্সিং ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন।
কি কি কাজ পাওয়া যায়ঃ
এখানে বিভিন্ন রকম জব রয়েছে। যেমনঃ মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইত্যাদি।
পেমেন্ট দেয়ার পদ্ধতিঃ
বিকাশ এবং বিভিন্ন দেশী পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে এই মার্কেটপ্লেসের টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
প্রতিযোগিতা কেমনঃ
দেশিও মার্কেটপ্লেস হওয়ার কারণে প্রতিযোগিতা একটু কম।


৭. টিস্প্রিং


টিস্প্রিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে টী-শার্ট সেল করার একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে আপনাকে ডিজাইন এবং মার্কেটিং জানতে হবে। এই মার্কেটপ্লেসে ফ্রীলেন্সেররা নিজেরা টি-শার্ট ডিজাইন করে এবং নিজেরাই ডিজাইনকৃত টিশার্ট মার্কেটিং করে বিক্রয় করে। এর মাধ্যমে ফ্রীলেন্সাররা বিক্রি করা টি শার্টের মূল্যের উপর নির্দিষ্ট হারে কমিশন পায়। তবে আপনি যদি কোন ডিজাইনারকে নিয়োগ দিতে পারেন তাহলে ডিজাইন না জানলেও চলবে। অর্থাৎ, চাইলে দুই জনের টিমও একত্রে হয়ে কাজ করতে পারেন।
আমাদের দেশে এই মার্কেটপ্লেসটি অনেক বেশি জনপ্রিয়। আপনি ফ্রী এবং পেইড উভয় মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে মার্কেটিং করতে পারবেন।  তবে কেউ যদি ভালোভাবে পেইড মার্কেটিং করতে পারে যেমনঃ ফেসবুক এ পেইড অ্যাড দিতে পারে তাহলে ভালো ইনকাম হয় এবং খুব দ্রুত হয়। টিস্প্রিং আপনার বিক্রয়ক্রিত টী-শার্ট প্রিন্ট করাবে এবং নির্দিষ্ট ক্রেতার নিকট পাঠিয়ে দিবে, তাই আপনার আসল কাজ হচ্ছে ভালো ডিজাইন করা এবং তা মার্কেটিং করা ।
পেমেন্ট দেয়ার পদ্ধতিঃ
এই মার্কেটপ্লেস থেকে বিভিন্ন ভাবে পেমেন্ট উত্তোলন করা যায়। তবে বাংলাদেশ থেকে সহজে টাকা উত্তোলনের মাধ্যম হল পেইনিয়র মাস্টারকার্ড।
প্রতিযোগিতা কেমনঃ
প্রতিযোগিতা বিষয়টি এখানে তেমন একটি গ্রহণযোগ্য নয়, ভালো ডিজাইন এবং মার্কেটিং এর মাধ্যমেই বিক্রয় হয়।

৮. মাইক্রো ওয়ারকার্সঃ


আউটসোর্সিং এখন অনেক প্রতিযোগিতামূলক। তাই এখন বড় বড় মার্কেটপ্লেসে জব পাওয়াটা একটু কঠিন হয়ে পরেছে। ফ্রীলেন্সেররা এখন নতুন নতুন মার্কেটপ্লেস খুজছে। সহজে কাজ পাওয়া যায় এমন একটি মার্কেটপ্লেস হল Microworkers.
কি কি কাজ পাওয়া যায়ঃ
এই মার্কেটপ্লেসে ছোট ছোট কিছু কাজ রয়েছে যা সহজেই করা যায়। যেমনঃ কোন অ্যাডে ক্লিক করা, কোথাও কমেন্টস করা, কোথাও সাইন আপ করা ইত্যাদি। এই মার্কেটপ্লেসে কাজ খুব সহজ বলে কাজের রেটও কম।
প্রতিযোগিতা কেমনঃ
এই মার্কেটপ্লেসে কোন প্রতিযোগিতা নাই। প্রতিটি একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমান কাজ থাকে যা সম্পন্ন করতে পারলে ইনকাম হয়। এখানে কোন প্রকার বিড এর প্রয়োজন হয় না। নির্দিষ্ট পরিমান কাজ দেওয়া থাকে যা  আপনি সম্পন্ন করতে পারলে ডলার পাবেন। তবে বাংলাদেশের জন্য এই মার্কেটপ্লেসে কাজের মূল্য খুবই কম।
পেমেন্ট দেয়ার পদ্ধতিঃ
এই মার্কেটপ্লেসে থেকে Skrill এর মাধ্যমে পেমেন্ট তুলতে পারবেন।

৯. BEHANCE:


ডিজাইনার এবং বিভিন্ন ডেভেলপারদের জন্য একটি জনপ্রিয় এবং পরিচিত মার্কেটপ্লেস হল Behance. এটি বিখ্যাত Adobe এর একটি মার্কেটপ্লেস। এটি এমন একটি মার্কেটপ্লেস যেখানে বিভিন্ন রকম ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টের অনেক জব পাওয়া যায় যেমনঃ ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন ইত্যাদির বিভিন্ন কাজ। প্রোগ্রামিং এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ল্যাঙ্গুয়েজের যেমন পাইথন, সি ইত্যাদির কাজ।

১০. TOPTAL:


TopTal নতুন মার্কেটপ্লেস, তাদের জনপ্রিয়তা ছুই ছুই বলতে পারেন । এখানেও প্রায় সব ধরণের কাজ পাওয়া যায় ।তবে প্রচুর পরিমান কাজ রয়েছে বিভিন্ন ডেভেলপারদের জন্য।
কি কি কাজ পাওয়া যায়ঃ
আপনি যে কোন ল্যাঙ্গুয়েজ জানলে এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন যেমনঃ পিএচপি, জাভা, সি, সি++, পাইথন ইত্যাদি। আপনি শুধু HTML এবং CSS জানলেও এখানে কাজ করতে পারবেন কারণ এখানে রয়েছে অনেক Front-End ডেভেলপারের কাজ। বর্তমানে WordPress এর জনপ্রিয়তার জন্য প্রচুর পরিমান wordpressথিম ডেভলপমেন্ট, প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদির কাজ রয়েছে।
 অন্যান্য মার্কেটপ্লেস থেকে এই মার্কেটপ্লেসের অন্যতম পার্থক্য হল এখানে ফাইনেন্স এক্সপার্টদের জন্য অনেক জবের সুযোগ রয়েছে।
প্রতিযোগিতা কেমনঃ
এই মার্কেটপ্লেসে সবাই কাজ করতে পারবে না। কারণ এখানে এক্সপার্টরা কাজ করে। তাই আপনি যদি ভালো প্রোগ্রামার হন তাহলে এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন। এখানে কাজের রেট অনেক ভালো।
পেমেন্ট দেয়ার পদ্ধতিঃ
এই মার্কেটপ্লেসে পেমেন্ট মেথডের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকম মাস্টার কার্ড এবং ব্যাংক ওয়ার।

১১. GURU:


ফ্রীলেন্সিং করার জন্য যতগুলা মার্কেটপ্লেস রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি নাম হল Guru. এই মার্কেটপ্লেসেও রয়েছে অনেক জব। এখানে কাজ করতে পারবে মার্কেটার, ডিজাইনার, ডেভেলপার সহ আরও বিভিন্ন কাজে দক্ষ ফ্রীলেন্সাররা। তবে সবচেয়ে  বেশি কাজ থাকে ওয়েব ডেভেলপারদের। অন্যান্য মার্কেটপ্লেস থেকে এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করার প্রতিযোগিতা তুলনামূলক ভাবে কম।
কি কি কাজ পাওয়া যায়ঃ
ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, থিম ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, আর্টিকেল রাইটিং এবং বিভিন্ন রকম ডিজাইনের কাজ ইত্যাদি।
প্রতিযোগিতা কেমনঃ
আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রীলেন্সারের তুলনায় এই মার্কেটপ্লেসে ইন্ডিয়া, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশী ফ্রীলেন্সার কম। তাইপ্রতিযোগিতাও একটু কম।  যারা অন্য মার্কেটপ্লেস গুলোতে জব পাচ্ছেন না তারা এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারেন।
পেমেন্ট দেয়ার পদ্ধতিঃ
এই মার্কেটপ্লেস থেকে উপার্জিত টাকাসরাসরি ব্যাংক,payoneer মাস্টারকার্ড এর মাধ্যমে তোলা যাবে।

১২. GRAPHICRIVER:


GraphicRiver হচ্ছে বিখ্যাত মার্কেটপ্লেস Envato এর একটি অংশ। যেখানে বিভিন্ন ডিজাইনার এবং ডেভেলপাররা তাদের ডিজাইন করা টেমপ্লেট, থিম ইত্যাদি বিক্রয় কারার জন্য পাবলিশ করে।  GraphicRiver এ আপনি ফটোশপ ফাইল, আইকন, লোগো, ফন্ট, প্রেজেন্টেশন এবং বিভিন্ন  টেমপ্লেট ইত্যাদি বিক্রয় করতে পারবেন। আপনি যদি খুব ভালো ডিজাইনার হন তাহলেই আপনার পন্য বিক্রয় করার জন্য অনুমোদন পাবেন। এই মার্কেটপ্লেসে অনেক ডিজাইন বিক্রয় করা যায়। কারণ মার্কেটপ্লেসের ক্রেতা অনেক।
প্রতিযোগিতা কেমনঃ
পৃথিবীর বহু দেশের ফ্রীলেন্সারাই এখানে ডিজাইন বিক্রয় করে। তাই প্রতিযোগিতাও বেশি। প্রতিযোগিতা থাকলেও ভালো ডিজাইন সাবমিট করলে ডিজাইন সেল হয় আর যদি মার্কেটিং করা যায় তাহলে সেলের পরিমান বেড়ে যায়।
পেমেন্ট দেয়ার পদ্ধতিঃ
Payoneer দিয়ে সহজে টাকা উত্তোলন করা যায় বলে আমাদের দেশের ফ্রীলেন্সারদের কাছে এই মার্কেটপ্লেসটি নিরাপদ এবং জনপ্রিয়।

১৩. SEOCLERKS:


SEO এক্সপার্টদের জন্য একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হল SEOclerks.  SEO সম্পর্কিত সকল ধরনের জব পাওয়া যায় এই মার্কেটপ্লেসে যেমনঃ কীওয়ার্ড রিসার্চ, অন পেজ অপটিমাইজেশন, এসইও অডিট রিপোর্ট ইত্যাদি। এমনকি বিভিন্ন ব্লগ রিভিউ দেওয়ার জব ও রয়েছে। আরও আছে আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ। যদি আপনি ভালো লিখতে পারেন এবং এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে এর মার্কেটপ্লেসে জব করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন পিডিএফ বই এবং সফটওয়ার বা প্লাগিনও এখানে বিক্রয় করা যায়।
প্রতিযোগিতা কেমনঃ
এই মার্কেটপ্লেসেও প্রতিযোগিতা রয়েছে। শুধু মাত্র SEO এর কাজের জন্য একটি মার্কেটপ্লেস বলে অনেক SEO এক্সপার্টরা এই মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য আবেদন করে।সে জন্য প্রতিযোগিতা রয়েছে। তবে অনেক কাজও রয়েছে। তাই চেষ্টা করলে জব পাওয়া যায়।
পেমেন্ট দেয়ার পদ্ধতিঃ
এই মার্কেটপ্লেস থেকে পেপাল, payoneer বা পেজার মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

No comments:
Write comments

Interested for our works and services?
Get more of our update !