আজ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব কিভাবে একটি দৃষ্টিনন্দন আর্টিকেল লিখবেন মাত্র ১৫ মিনিটে এর মধ্যে । আমরা যারা আর্টিকেল লিখি তাদের জন্য সময় ক্ষেপন একটি বড় বাধাসরুপ । আমরা মাঝে মাঝেই দেখি একটা আর্টিকেল লিখতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা চলে যাচ্ছে তারপর ও আমরা যেটা লিখতে চাচ্ছি সেটা লিখতে পারি না ।মাঝে মাঝেতো একটা আর্টিকেল লিখতে সারাদিন চলে যায় তারপরও মনের মত কিছু লিখতে পারি না ।
আমার এই লেখাটা লিখার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কিভাবে আপনি এই বাধাকে দূর করবেন শুধু তা নয় , বরং কিভাবে আপনি একটি জটিল আর্টিকেল ১৫ মিনিটে লিখতে পারবেন সেটা ও। চলুন দেরী না করে তাহলে শুরু করা যাক ।
আপনার লেখার শিরোনাম কি হবে তার নোট তৈরী করুন :
অনেকে আছে যারা আইডিয়া নোট তৈরী করে তাদের আর্টিকেল এর জন্য কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা পছন্দ করি না যতক্ষণ পর্যন্ত না এটা নির্দিস্ট করে দেওয়া হয় । এর চেয়ে আমি বেশি পছন্দ করি আর্টিকেল এর শিরোনামের নোট তৈরী করা । যদিও এটা আপনার কাছে একই রকম মনে হতে পারে কিন্তু এদের মধ্যে সামান্য কিছু পার্থক্য আছে । নিচে তার একটি উদাহরণ দেয়া হলো :
আইডিয়া নোট : ব্লগিং এর ট্রাফিক এর উপর একটি আর্টিকেল লিখ ।
শিরোনাম নোট : ব্লগ এ ট্রাফিক পাবার ১০ টি উপায় (যেগুলো আপনি জানেন না )
নির্দিষ্ট শিরোনাম হলে আপনি আপনার আর্টিকেল এ শব্দগুলোকে ঢেলে সাজাতে পারবেন । সত্যি কথা বলতে কি আমার এখনি এটা নিয়ে আর্টিকেল লিখতে ইচ্ছা করছে । সবসময় শিরোনাম টাকে নির্দিষ্ট রাখবেন ।শিরোনাম টাকে নির্দিষ্ট রাখলে তারাতারি সিধান্ত নিতে পারবেন আপনি কি লিখবেন কেননা আপনি আপনার লেখার বিসয়বস্তুটাকে কমিয়ে এনেছেন একটা নির্দিস্ট সীমার মধ্যে।
অন্য লেখক এর লেখা থেকে আইডিয়া ধার করা :
খারাপ কিছু ভাবার আগে একটু অপেক্ষা করুন , আমি এটা নিয়ে বিস্তারিত বলছি আপনাদের । আপনার লেখাটি ১০০% আপনারই হওয়া উচিত । এটা বলার পর আমি আরো বলব যে আপনি অন্যদের আর্টিকেল পরে তাদের লেখার বিষ্ময়কর ধারণা গুলো নিজের লেখায় নিয়ে নিতে পারেন । কিভাবে তাদের ভালো লেখার ধারণাগুলো নিজের লেখায় মধ্যে নিয়ে আসবেন তার কিছু উপায় আমি নিচে আপনাদের বলছি :
- তারা বিষয়বস্তুর যতটুকু ভিতরে প্রবেশ করেছে আপনি তার চেয়ে বেশি ভিতরে ঢুকুন ।
- তারা যেখানে তাদের লেখাকে বিস্তারিত করেনি আপনি সেখানে আপনার লেখাকে বিস্তারিত করুন ।
- আপনি তাদের লেখা থেকে ভিন্নমত পোষণ করুন ।
- এর থেকে অনুপেরণা নিয়ে অনুরূপ একটি বিষয় নিয়ে লেখার চেষ্টা করুন ।
অল্প একটু অনুপেরনায় অনেক নতুন ধারণার সৃষ্টি করে ।
লেখাতে লিস্ট এবং বুলেট পয়েন্ট ব্যবহারকরুন :
লেখাতে বুলেট পয়েন্ট এবং লিস্ট ব্যবহার করুন । নাহলে পাটকের মন আপনার লেখা থেকে দূরে চলে যেতে পারে । ক্রিয়েটিভ আইটি এর এস,ই,ও, স্পেশালিস্ট এবং আমার শ্রদেয় স্যার মো: একরাম এর ভাষায় আপনার আর্টিকেল এর একটি পারা যখন অনেক বড় হয়ে যায় তখন পাঠকের চোখের ক্লান্থি দূর করতে আপনাকে বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করতে হবে । কেন লিস্ট বা বুলেট পয়েন্ট খুব ভালো কাজ করে :
- এটা তথ্যগুলো কে সংক্ষিপ্ত করে ।
- এটা লেখাকে দৃষ্টিনন্দন করে
- এটা লেখাকে সংকুচিত করে ।
- এটা পয়েন্ট গুলোকে আরো শক্তিশালী করে ।
উপরে লিস্টটাই তার সবচেয়ে ভালো উদাহরণ ।
আপনার লেখাগুলো একটা এডিটর প্রোগ্রামে লিখুন :
আপনার লেখা প্রকাশ করার আগে যদি বার বার এডিট করা লাগে তাহলে আপনি একটি এডিটর প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে পারেন । এতে করে আপনার লেখাতে কোনো স্পেল্লিং প্রবলেম থাকলেও তা আপনাকে দেকিয়ে দিবে এডিটর এবং আপনার অনেক সময় ও বাচিয়ে দিবে ।এরকম দুইটি ফ্রি প্রোগ্রাম হলো গুগল ডক্সএবংগ্রামারলী।
ছবি এবং লিঙ্ক অনেক কিছুই বলে দেয় :
আপনার আর্টিকেল এ ছবি এবং লিংক দিয়ে আপনি অনেক কিচু প্রকাশ করতে পারেন যা আপনি লেখা দিয়েও মাঝে মাঝে পারেন না । এভাবে আপনি লিংক বা ছবি দিয়ে আরেকজন এর কাজ , ব্লগ বা আপনার আফিলিয়েট প্রোগ্রাম কেও প্রমোশন করতে পারেন । এভাবে আপনি আপনার সমকক্ষ বাক্তিদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাকতে পারেন এবং আপনার লেখার কোয়ালিটি ও বাড়াতে পারেন ।
কাজটি করে ফেলুন উত্সাহের সাথে :
আপনার লেখার প্রতিউত্সাহই আপনার লেখার মূল চাবিকাটি । আপনি যদি আপনার লেখার প্রতি উত্সাহী হন তাহলে দেখবেন কোন দিক দিয়ে সময় চলে গেছে তা টের ও পাবেন না । আপনার যদি লেখাটা লিখতে ভালো না লাগে তাহলে একটু জায়গা থেকে উঠে হেটে ফ্রেশ হয়ে আসুন , তারপর আবার লেখতে বসেন যখন আবার আপনার লিখতে ভালো লাগবে ।
কিছু সময়ের জন্য দুনিয়াটাকে ব্লক করে দেন :
আপনি কম সময়ে একটি আর্টিকেল লিখতে পারবেন না যদি আপনার সামনে টিবি টা অন করা থাকে বা আপনার ফোন এ একটার পর একটা মেসেজ বা ফোন আসতে থাকে । তাই কিছু সময়ের জন্য আপনার আসেপাশের দুনিয়া টাকে ব্লক করে রাখুন । তাহলে আপনি আপনার লেখার প্রতি দ্রুত মনোনিবেশ করতে পারবেন । ধরুন না আপনার আম্মা আপনাকে বলছে যতক্ষণ পর্যন্থ না তুমি হোমওয়ার্ক শেষ করছ সে পর্যন্থ তুমি বাইরে খেলতে যেতে পারবে না ।
আপনার লেখায় উদ্ধৃতিব্যবহার করা শিখুন :
কারো লেখা চুরি করা খুব খারাপ কিন্তু কোনো মনীষী বা বিক্ষাত ব্যক্তির উদৃতি আপনি আপনার লেখায় ব্যবহার করতে পারেন । তাদের মধ্যে হয়্থ কারো লেখা আপনার ভালো লাগতে পারে আবার নাও লাগতে পারে । তা যাই হোক আপনি তার বিরুদ্ধে থাকলে তাও লিখতে ভয় পাবেন না । তখন মাঝে মাঝে এমন ও হবে আপনি লিখতে চাচ্ছিলেন ২০০ শব্দের আর্টিকেল কিন্তু হয়ে যাবে ১০০০ শব্দের ।
বেশি চিন্তা করা বন্ধ করুন :
সহজই স্মার্ট। দ্রুতই ভাল। বেশি চিন্তা করলে আপনার যেটা লিখতে চাচ্ছিলেন তা না হয়ে অন্য একটা লেখা হয়ে যেতে পারে যা পুরাই অপ্রাসংগিক । তাই আপনাক লেখাকে সহজ করুন তাতে আপনার লেখা সবার বধোগম্য ও হবে ।
আপনার হাত টাকে সবার পালস এ রাখুন :
দেখুন সবাই কি নিয়ে কথা বলছে ? তারা কি পড়তে চাইছে ? দেকুন তারা সোশ্যাল মিডিয়া বা ব্লগ এ কি কি প্রশ্ন করছে ? আপনার আর্টিকেল এর মাধ্যমে তাদের সমস্যা এর সমাধান করতে চেষ্টা করুন ।
আপনার সাথে একটা নোটপ্যাড রাখুন সবসময় :
আপনার সাথে সবসময় একটা নোটপ্যাড এ রাখুন । আমি এই লেখাটা লেখার সময় ৩ টা বেশি পয়েন্ট পেয়েছিলাম । তখন সাথে সাথে এগুলো আমি নোটপ্যাড এ লিখে রাখি । আমার আর্টিকেল লেখা যকন শেষ হবে তখন আমি আমার আর্টিকেল এর শিরোনাম টা দেখবো এবং আমার কাছে যেই পয়েন্ট টা ভালো লাগবে সেই পয়েন্ট টা আর্টিকেল এর মধ্যে রেখে দিব ।
আপনি যদি উপরের আইডিয়া গুলো মেনে লেখা শুরু করেন তাহলে খুব দ্রুত এবং সফলভাবে আর্টিকেল লিখতে পারবেন আশা করি । আমি যেহেতু আর্টিকেল জগতের নতুন তারকা তাই আশা করি আমার ভূলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আপনার যদি মনে হয় আমি কিছু বাদ দিয়ে গেছি তাহলে কমেন্ট করে তা সবাইকে জানিয়া দিন ।
No comments:
Write comments