Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.

Text Widget

Text Widget

Wed Development

Outsourcing

Blog Archive

Blog Archive

Latest Release

Advance Internet

About Pro Video

SEO

Popular Posts

Unordered List

Pages

Download

Recent Posts

Definition List

Tuesday, December 12, 2017

“আর্টিকেল রাইটিং” এ ক্যারিয়ার ?? জেনে নিন যাত্রা শুরুর পূর্বপ্রস্তুতি…

“আর্টিকেল রাইটিং” বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সার বা “মুক্ত পেশাজীবীদের” গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত। ওডেস্ক, ইল্যান্স ও ফ্রিলান্সারে “আর্টিকেল রাইটারদের” চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলছে। এই বর্ধিত চাহিদার কথা মাথায় রেখে অনেকেই এই পেশায় কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। যাদের লেখালেখির অভ্যাস আছে, ইংরেজিতে দখল ভালো, নিজের কথাগুলোকে কাগজে পাঠককে আকৃষ্ট করার মত সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন- আর্টিকেল রাইটিং তাদের জন্য নির্দ্বিধায় একটি ভালো পেশা। আর্টিকেল রাইটিংও যে আউটসোর্সিং করার জন্য অনেক বড় একটি সেক্টর হতে পারে, সেটি ১ম জানতে পারি, হাই-টেক পার্কের উদ্যোগে ক্রিয়েটিভ আইটিতে আয়োজিত এসইও কোর্সে, ইকরাম ভাইয়ের আর্টিকেল রাইটিংয়ের ক্লাশে।  তাঁর অনুপ্রেরণাতে আজকের লেখাটি লিখছি সবার জন্য। এ পোস্টে আমি ভাল আর্টিকেল লেখার জন্য কি করা উচিত, কি কি বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত, সেই বিষয়ে সবাইকে কিছু গাইডলাইন দেওয়ার চেষ্টা করব।
article writing
একটি আর্টিকেল শুরু করার আগে নিন্মোক্ত প্রাকটিসগুলো আপনার কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবেঃ

টপিক বাছাই করুন সচেতন ভাবেঃ

একটি আর্টিকেল লিখতে হলে প্রথমেই আপনাকে সেটির টপিক বা “বিষয়” বেছে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি এমন একটি বিষয় নিয়ে লিখুন যা নিয়ে আপনি কাজ করতে ভালবাসেন এবং যার সম্মন্ধে আপনার পূর্ব- ধারণা/পরিষ্কার ধারণা আছে। আর যদি উক্ত বিষয়ে আপনার কোন ধারণা না থাকে কিন্তু আপনি কাজটি করতে চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে আপনার দৃঢ় মনোবল ও বিশ্বাস থাকার পাশাপাশি প্রচুর পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে।গৎবাঁধা আথবা বিতর্কিত বিষয়বস্তুকে কখনই আপনার টপিক হিসেবে বেছে নেবেন না। তাতে করে যেমন আপনি কাজ করার স্পৃহা হারিয়ে ফেলবেন, ঠিক তেমনভাবে পাঠকও পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।

অনুসন্ধান করুনঃ

টপিক বাছাইয়ের পর দ্বিতীয় ধাপে আপনি আপনার টপিক নিয়ে “অনুসন্ধান” করবেন। শুনতে অদ্ভুত লাগছে? কিন্তু বিশ্বাস করুন এই কাজটি আপনাকে আপনার লেখার ধরন ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারনা দেয়ার পাশাপাশি আপনার আর্টিকেলকে আরও “ পরিকল্পিত” ও “ সমৃদ্ধ” করে তুলবে। কারন আপনি যখন আর্টিকেলের টপিক নিয়ে অনুসন্ধান করবেন তখন আপনাকে বিস্তরভাবে তা নিয়ে পড়তে হবে। তাতে করে আপনার আর্টিকেলটি অন্যদের তুলনার অনেক বেশি “তথ্যবহুল” হবে।

আউটলাইনিং এন্ড প্লানিং এ মনোযোগী হোনঃ

তৃতীয় পর্যায়ে এসে আপনাকে আপনার আর্টিকেল এর একটি আউটলাইনিং এবং প্লান বা “ খসড়া ও পরিকল্পনা” করে নিতে হবে। ভাবছেন শুরুর আগেই এত ঝামেলা? এক্ষেত্রে আপনি আব্রাহাম লিঙ্কনের এই উক্তিটি স্মরণ করলে আর বিরক্ত হবেন না “ If I had eight hours to chop down a tree, I’d spend six hours sharpening my axe”. এভাবে প্রস্তুতি নিলে হয়তো, যেকোনো একটি আর্টিকেল লেখা শুরু করার আগে অন্যদের তুলনায় আপনি হয়তো কয়েক ঘণ্টা সময় বেশি নেবেন। কিন্তু যথাযথ প্রস্তুতি থাকার কারনে মূল কাজটি শুরু হয়ে যাওয়ার পরে অন্যদের চেয়ে কম সময়ে আপনি কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন। এতে করে পরবর্তীতে আপনি কাজের মাঝপথে গিয়ে নতুন কোন বিপদে পড়বেন না। তাই এই পর্যায়ে আপনি একটি ওয়ার্ড ফাইল খসড়া হিসেবে নিয়ে কিছু কাজ করে কাজ সেরে ফেলতে পারেনঃ
  • গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো লিখে ধারাবাহিকভাবে সাজিয়ে ফেলুন,
  • প্রাসঙ্গিক/ প্রয়োজনীয় ছবি কপি করে রাখুন,
  • কোন তথ্য- উপাত্ত ছক আকারে দিতে চাইলে তার প্রাথমিক এন্ট্রি গুলো সম্পন্ন করে রাখুন, হিসেব থাকলে তার সংখ্যাগুলো বসানো ছাড়া বাকী কাজগুলো করে ফেলুন,
  • কোন প্যারাগ্রাফ পরবর্তী সময়ের জন্য দরকারি মনে হলে ভিন্নভাবে ( কালারিং, বোল্ড) মার্ক করে রাখুন।
এই কাজগুলো করে ফেললে আপনার কাজ অনেকখানি গোছানো হয়ে যাবে। ফলে আপনার আর্টিকেল এর একটি সুন্দর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। এলোমেলো আর্টিকেল কখনই পাঠককে আকৃষ্ট করে না।
article-writing

লেখার প্রতি যত্নশীল হোন

একটি লেখা তার লেখকের প্রতিচ্ছবি। তাই লেখার প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল হোন। নির্ভুল বানান লিখুন তাতে লেখার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। এক্ষেত্রে বানান নিয়ে কোন সন্দেহ থাকলে আপনি ডিকশনারির সাহায্য নিতে পারেন। বর্তমানে অক্সফোর্ড এবং ক্যামব্রিজ- এই দুটি ডিকশনারিই অনলাইনে ফ্রী সেবা দিয়ে থাকে। সুতরাং ইংরেজি বানান নিয়ে সংশয়ে না থেকে এখান থেকে নিশ্চিত হয়ে নিন।
অক্সফোর্ড ডিকশনারির অনলাইন সেবার লিঙ্কঃ
ক্যামব্রিজ ডিকশনারির (us version) অনলাইন সেবার লিঙ্কঃ
সাবলীল একটি আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ করুন, আপনার ব্যক্তিগত মতামত বা ভালোলাগা- মন্দলাগা নয়। লেখায় পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করুন। এতে করে আপনি অধিক পাঠকের মন জয় করতে পারবেন। পাশাপাশি এমন কোন অশোভন শব্দ ব্যবহার করবেন না, যা পাঠকের কাছে আপনার লেখার প্রতি একটি বিরুপ মনভাব সৃষ্টি করে।

সুন্দর উপস্থাপন নিশ্চিত করুনঃ

যেকোনো একটি লেখার সাধারনত তিন শ্রেণির পাঠক থাকে। শ্রেনিভেদে তাদের চাহিদাও ভিন্ন হয়। আপনার আর্টিকেলটির এই তিন শ্রেনির পাঠককেই আকৃষ্ট করার ক্ষমতা থাকতে হবে। আর তার জন্য একটি সুন্দর উপস্থাপন অনেক বেশি জরুরি।
article
যে তিন ধরনের পাঠক আপনি পাবেনঃ

১) যারা শুধুমাত্র আর্টিকেলটি যে বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে, সেই বিষয়টির ধারনা পেতে চাইবে (Skimming)

উদাহরণস্বরূপ মনে করুন, আপনি SEO নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখলেন।এই আর্টিকেল এর এক শ্রেনির পাঠক হোল তারা যাদের SEO সম্পর্কে কোন পূর্ব ধারনা নেই, তারা শুধুমাত্র SEO নামে একটি বিষয় আছে তা শুনেছেন।তখন তারা আপনার আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে SEO এর একটি সামগ্রিক ধারনা পাওয়ার আশা করবেন।তাই এদের কথা মাথায় রেখে আপনাকে সহজ ভাষায় একটি আকর্ষণীয় আর্টিকেল লিখতে হবে।এ শ্রেনির পাঠকগণ সাধারণত লেখার শুরুর দিকের বর্ণনাটুকু পরেই একটি সামগ্রিক ধারণা পেতে চান।তাই আপনার লেখা এমন ভাবে সাজান যাতে তা এই নতুন শ্রেনির পাঠক প্রথমবারেই আপনার নিয়মিত পাঠকে পরিণত হয়।

২) যারা একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে আপনার লেখাটি পড়বেন/ নতুন কিছু খুঁজবেন (Scanning)

এই দ্বিতীয় শ্রেনির পাঠকের ইতিমধ্যে SEO সম্পর্কে একটি ধারণা আছে, কিন্তু তারা যেকোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু আপনার লেখায় খুঁজছেন, এবং সেই প্রত্যাশিত বিষয়ের বিস্তারিত জানার জন্য আপনার আর্টিকেলটি তারা পড়তে এসেছেন। এই শ্রেনির পাঠকরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোন একটি বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখলে নিশ্চিত করুন যে, উক্ত বিষয় নিয়ে পাঠকের প্রাসঙ্গিক সব প্রশ্নের উত্তর আপনি আপনার লেখার মাধ্যমে দিতে পেরেছেন। “ই-মেইল মার্কেটিং” SEO এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।দেখা গেল SEO নিয়ে আপনি ১৫-২০ পাতার একটি আর্টিকেল লিখলেন কিন্তু ই-মেইল মার্কেটিং অংশটি বাদ দিয়ে গেলেন। তখন নিঃসন্দেহে আপনি এই দ্বিতীয় শ্রেনির অনেক পাঠক হারিয়ে ফেললেন। তাই কোন বিষয় নিয়ে লিখলে তার কোন অংশ বাদ দিয়ে লেখা যাবে না।

৩) যারা পড়তে / নিজেদের যাচাই করতে ভালবাসেন (Actual Reader)

এই শ্রেনির পাঠকের ইতিমধ্যে আপনার লেখা বিষয়বস্তুর উপর ভালো দখল রয়েছে। লেখক শ্রেনির মানুষেরাও এ পাঠক গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। এ কথা জানার পরে ঘাবড়ে যাবেন না, উল্টো আপনি তাদের কথা মাথায় রেখে আপনার লেখাটি আরও যথাযথ ভাবে উপস্থাপন করবেন। কারণ এই পাঠকগণ শুধুমাত্র পড়ার প্রতি তাদের ভালবাসা থেকেই আপনার লেখাটি পড়তে আসবেন। পাশাপাশি তারা আপনার লেখার দ্বারা নিজের মেধা আরেকবার ঝালাই করে নেবেন। তাই আপনার লেখায় অনন্য কিছু দিন। যাতে করে আপনি তাদেরকেও আপনার নিয়মিত পাঠক বানিয়ে ফেলতে পারেন।
content-w

এড়িয়ে যাবেন না পুনঃ নিরীক্ষণঃ

উপরোক্ত ধাপগুলো ভালোভাবে অনুসরণ করে থাকলে আপনি ইতোমধ্যে আপনার লেখাটি সম্পন্ন করে ফেলেছেন। ভাবছেন কাজ শেষ? একদম ই নয়। এত পরিশ্রম করে একটি আর্টিকেল লিখলেন, কিন্তু কোন রিভিশন ছাড়াই জমা দিয়ে দিলেন। দেখা গেল লাইন স্পেসিং, প্যারাগ্রাফ কো-অর্ডিনেশন, পৃষ্ঠা নম্বর ইত্যাদি দিতে ভুলে গেছেন। তাতে করে আপনার এত কষ্টের পরেও আপনি আত্মতৃপ্তি পাচ্ছেন না। তাই এইসব ছোটখাটো ঝামেলা এড়াতে লেখা শেষ হবার পর অবশ্যই লেখাটি পুনঃ নিরীক্ষণ করুন।
কোন পরীক্ষার জন্য যেমন আমরা কয়েকমাস প্রস্তুতি নেয়ার পর আমরা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টের আশা করি, তেমনি ভাবে “আর্টিকেল রাইটিং পেশায়” প্রবেশের পূর্বে এই আর্টিকেল এ উল্লেখিত বিষয় গুলো মাথায় রেখে কাজ করতে পারলে/ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারলে এই পেশায় আপনার সফলতা নিশ্চিত।

No comments:
Write comments

Interested for our works and services?
Get more of our update !