Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.

Text Widget

Text Widget

Wed Development

Outsourcing

Blog Archive

Blog Archive

Latest Release

Advance Internet

About Pro Video

SEO

Unordered List

Pages

Download

Recent Posts

Definition List

Tuesday, December 12, 2017

ভয়কে করুন জয়, আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ আপনারই জন্য (৩য় পর্ব)

welcome
আর্টিকেল রাইটিং মিশনে আপনাদের স্বাগত জানাই। মিশনের কথা শুনে টম ক্রুজের “ মিশন ইম্পসিবল” এর কথা ভাববেন না যেন কারন আমরা এগিয়ে যাচ্ছি মিশন পসিবলের পথে। আজকের পর্ব থেকে আমি আপনাদের জন্য আর্টিকেল রাইটিং এর উপর একটি পূর্নাংগ গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করবো, আর আপনারা এই গাইডলাইন ফলো করে আর্টিকেল লেখা শুরু করবেন  ।
ভালো কথা, গতপর্বের হোম ওয়ার্কগুলো করেছেন তো ? যতো যাই করেন হোম ওয়ার্কগুলো স্কিপ করবেন না । এতে আপনার আর্টিকেল লেখা শেখার ক্ষেত্রে ফাঁকফোকর থেকে যাবে। ৩য় পর্বের মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে বলে নেই, যারা ১ম ও ২য় পর্ব পড়ে্ন নি তারা পড়ে আসুন নিচের লিংক এ গিয়ে কারন, আপনি যে পথে নামছেন সে পথ কোথায় গিয়ে মিলবে তাই যদি না জানেন তাহলে পথ হারিয়ে ফেলাটাই স্বাভাবিক।

লিংক ১ম পর্বঃ     http://genesisblogs.com/tutorial-2/8522

লিংক ২য় পর্বঃ     http://genesisblogs.com/tutorial-2/9004


steps 6

ধাপে ধাপে আর্টিকেল শেখার একটি পূর্নাংগ গাইডলাইন

গত পর্বে আমি আপনাদের ধারনা দেয়ার জন্য একটি ভালোমানের আর্টিকেলকে ৪টি অংশে বিভক্ত করে দেখিয়েছি। অংশগুলোর বিস্তারিত আলোচনা আমি তখন করিনি এই কারনে যে, ধাপে ধাপে আর্টিকেল শেখার এই আলোচনায় আমি আপনাদের বোঝানোর জন্য অংশগুলোকে ধাপের সাথে মিলিয়ে আলোচনা করবো। এতে আপনারা সহজে আর্টিকেল লিখতে পারবেন বলে আশা করি। এখন চলুন ধাপে ধাপে আর্টিকেল লেখা শুরু করে দেই –

target



১ম ধাপঃ

১ম ধাপে আপনাকে আর্টিকেলের জন্য টপিক নির্বাচন করতে হবে। আশা করি যা আপনি ইতোমধ্যেই করে ফেলেছেন। এখন আর্টিকেল লেখার ঠিক আগ মূহুর্তে আপনাকে যে সব বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে তা হলো –
1. আপনি কাদেরকে উদ্দেশ্য করে আপনার আর্টিকেলটি লিখছেন ? এ বিষয়ে একদম নতুন এমন পাঠকদের জন্য নাকি আগেই এ সম্পর্কে কিছু ধারনা আছে এমন পাঠকদের জন্য ? উদাহরণস্বরূপ বলি আমার এই চেইন আর্টিকেলটির কথা, যেখানে আমি একদম নতুনদের টার্গেট করেছি। সুতরাং আপনাকে আগে টার্গেট নির্ধারণ করতে হবে ।
2. টার্গেট ঠিক করে তাদের বোঝার উপযোগী ভাষায় আপনাকে লেখাটি উপস্থাপন করতে হবে।

title

২য় ধাপ = আর্টিকেলের ১ম অংশঃ

২য় ধাপে আপনার নির্বাচিত টপিকটি নিয়ে এমন একটি টাইটেল লিখুন যা পড়লে পাঠক ক্লিক করে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে আগ্রহী হয়ে উঠে। আপনি নিজে চিন্তা করে দেখুন তো পত্রিকা পড়ার সময় আপনি কি শিরোনাম আগে পড়েন নাকি পুরো নিউজটা আগে পড়েন? নাকি যে শিরোনামটি পড়ে কৌতূহল তৈরী হয় সেই নিউজটা আগে পড়েন, কোনটা ?
আমি আপনাদেরকে বোঝানোর সুবিধার্থে নিজে একটি টপিক নির্বাচন করলাম, “ভিডিও মার্কেটিং” । এ ক্ষেত্রে আমি টাইটেল দিলাম, “ ঘরে বসে আয় করতে চান ? তাহলে করুন ভিডিও মার্কেটিং “ । এখন এই টাইটেলটি দেখলে অনেক পাঠকের মনেই আশা জাগতে পারে, বাহ্ যদি তিনিও ঘরে বসে আয় করতে পারেন তাতে মন্দ কি ! আর এই আশা থেকেই পাঠক আর্টিকেলটি পড়তে চাইবে।

attraction

৩য় ধাপ = আর্টিকেলের ২য় অংশঃ

এই ধাপে আপনার আর্টিকেলের ভূমিকা লিখে ফেলুন। এই অংশটি আর্টিকেলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোন ব্লগে যখন আপনি লেখাটি পোস্ট করবেন তখন আপনার আর্টিকেলের শিরোনামের নিচে দু-তিন লাইনের একটি অংশ দেখা যাবে । অনেক পাঠক ঐ টুকু পড়েই সিদ্ধান্ত নেয় পুরোটা আর্টিকেল পড়বে কি না । এক্ষেত্রে আপনাদের জন্য আমার টিপস হলো –
1. সালাম নিবেন, কেমন আছেন, ভালো আছি টাইপের কথাবার্তা এড়িয়ে চলুন। SEO সংক্রান্ত আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে স্ট্রেইট কথাবার্তা লেখার চেষ্টা করুন। কারন মনে রাখবেন পাঠকের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু আপনার আর্টিকেল থেকে নতুন কিছু জানা। Formal এসব কথাবার্তার জন্য সকল ব্লগ আপনার জন্য আলাদা জায়গা দিয়ে রেখেছে যার নাম, “Author Biography” ।                                                                                                                                                                                                                                                                         2. ঠিক একই ভাবে এমন কিছু লিখবেন না যার কারনে পাঠক পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে যেমন, আমি এক্ষেত্রে একেবারেই নতুন, ভুল হলে ক্ষমা করবেন
3. আর্টিকেলের মূল অংশে আপনি পাঠকদের কি উপহার দিতে যাচ্ছেন তা সংক্ষেপে লিখতে পারেন। কিংবা পড়ার আকর্ষন বাড়ে এমন কিছু লেখার চেষ্টা করুন।
এগুলো আমার মনগড়া কোন কথা নয়, যখন আমি আর্টিকেল রাইটিং শিখেছি তখন আমার শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া টিপসগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। যা আপনাদের কাজে লাগবে ।

point

৪র্থ ধাপ = আর্টিকেলের ৩য় অংশঃ

এবার আসুন আর্টিকেলের মূল অংশে যাকে বলা হয় আর্টিকেল বডি। এই ধাপে আপনি লিখবেন, আপনার আর্টিকেল সংক্রান্ত যাবতীয় সকল কিছু এবং লেখার চেষ্টা করবেন একটু নতুন আঙ্গিকে কেননা আপনি যে টপিকটি নির্বাচন করেছেন তা নিয়ে হয়তো পূর্বেও অনেকে লিখে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে পাঠকের জন্য গতানুগতিক তত্থ্য প্রদানের জায়গায় নতুন নতুন আপডেটগুলো দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। আর লক্ষ্য রাখবেন, লেখার কারনে যেন কোন বিতর্কের সৃষ্টি না হয়, কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করা না হয়।
এই ধাপে আমি আপনাদেরকে অত্যন্ত কার্যকর একটি টিপস দেবো তা হলো, আর্টিকেলের মূল অংশে আপনি যা যা লিখতে চান তার মূল পয়েন্টগুলো ওয়ার্ক শিটে লিখে ফেলুন। এরপর সেই পয়েন্টগুলো ধরে ধরে বিস্তারিত আলোচনা করুন। এতে কি হবে দেখুন –
1. আপনার টপিক সংক্রান্ত আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে ।
2. প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলার ভয় থাকবে না ।
3. কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার আলোচনা থেকে বাদ পড়লো কিনা তা সহজেই আপনি বুঝতে পারবেন ।
4. সর্বোপরি, একটা ভালোমানের লেখা দাড় করিয়ে ফেলতে পারবেন ।
যেমন ধরুন, আমি যদি “ ঘরে বসে আয় করতে চান ? তাহলে করুন ভিডিও মার্কেটিং” এই টাইটেলটি নিয়ে আর্টিকেল লিখতে চাই, তাহলে এক্ষেত্রে আমি পয়েন্ট হিসেবে লিখব –                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                      • VM (ভিডিও মার্কেটিং) কি ?
• VM কোথায় করা যায় ?
• VM কে সহজ বলার কারন ।
• কিভাবে VM করতে হয়?
• VM এর মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করার কৌশলগুলো কি হতে পারে ?

summary

৫ম ধাপ = আর্টিকেলের ৪র্থ অংশঃ

এই ধাপে এসে আপনি লিখবেন আর্টিকেলের উপসংহার । এই অংশে আপনি আপনার লেখাটির একটি সারমর্ম লেখার চেষ্টা করুন কিংবা চেইন আর্টিকেলের ক্ষেত্রে আগামী পর্বে কি আলোচনা করতে যাচ্ছেন তাও বলতে পারেন , রাখতে পারেন পাঠকের জন্য কোন প্রশ্ন । মোটকথা নিজের মাথাটা একটু খাটিয়ে বের করুন কি লিখলে পাঠক আপনার লেখার ব্যাপারে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে । আপনার সামাজিক যোগাযোগের কোন লিংক দিয়ে দিতে পারেন যাতে করে আপনার আর্টিকেল সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে পাঠক সরাসরি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এতে করে আপনি যতো পাঠকের সাথে সম্পৃক্ত হবেন আপনার ব্রান্ডিং এর পথ ততো প্রশস্ত হবে ।

proof

৬ষ্ঠ ধাপঃ

আর্টিকেল তো লিখে ফেললেন, এখন কি করবেন ? দেই কোন ব্লগে পোস্ট করে নাকি ? কিন্তু আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে, তাড়াহুড়ো করলে চলবে না কারণ বেশ কিছু কাজ তো এখনও বাকি । তা হলো –
1. আপনার আর্টিকেলের প্রুফ চেক করতে হবে। নিজের লেখাটি বেশ কয়েকবার পড়ুন, কোথাও কোন বানান ভুল হয়েছে কিনা দেখুন।
2. ফন্ট, স্পেস ইত্যাদি ঠিক আছে কিনা চেক করুন ।
3. আর্টিকেলের কোথাও কোন লিংক দিতে চাইলে সেখানে লিংকটি লিখে ফেলুন । এতে পোস্ট করার সময় লিংক দিতে ভুলে যাওয়ার ভয় থাকবে না ।

homework

হোমওয়ার্ক

আর্টিকেল লেখা তো শিখেই ফেললেন । এখন নিচের হোমওয়ার্কগুলো করে ফেলুন –
1. ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনার নির্বাচিত টপিকের উপর একটি আর্টিকেল লিখে ফেলুন ।
2. আর্টিকেলের প্রুফ চেক করুন ।

আর্টিকেল লেখার কাজ শেষ হলো। কিন্তু একটি কথা আছে না, “ আগে দর্শণধারী, পরে গুণবিচারী “। সেই কারনেই, আর্টিকেলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে আপনাকে কি করতে হবে এবং গুগলের নজরে আসার জন্য কি কি গুণ আপনার আর্টিকেলে যোগ করতে হবে, এই সকল আলোচনা নিয়ে আমি হাজির হবো আগামী পর্বে । ততদিন পর্যন্ত ৬টি ধাপ অনুসরণ করে আর্টিকেল লিখুন যতো খুশি ততো । কারন যতো লিখবেন হাত ততই পাকা হবে এবং আপনার সামনে এগোনোর পথটাও হবে মসৃন।

No comments:
Write comments

Interested for our works and services?
Get more of our update !